[:bn]আসল সান্টার গল্প [:]
[:bn]আসল সান্টার গল্প [:]
April 10, 2018[:bn]‘জিংগেল বেলস, জিংগেল বেলস
জিংগেল অল দ্যা ওয়ে –
ওহ হোয়াট ফান ইট ইজ
টু রাইড এ ওয়ান হর্স
ওপেন স্লে …
গান গাইতে গাইতে আসেন এক বুড়ো। তাঁর গোঁফ-দাড়ি আর ধবধবে সাদা কলার আর হাতে সাদা ফারওয়ালা লাল টুকটুকে গাউন আর টুপি। বলগা হরিণের স্লেজে চেপে থলে ভর্তি উপহার নিয়ে আসেন তিনি। ২৪ ডিসেম্বর রাতে কিংবা বড়দিনের প্রথম প্রহরে চুপি চুপি লক্ষ্মী ছেলেমেয়েদের দিয়ে যান মজার মজার উপহার। তাঁকে দেখে আনন্দে ভরে ওঠে শিশুদের মন। তিনি শিশুদের প্রিয় সান্টা ক্লজ। ইউরোপের অনেক দেশে অবশ্য সান্টা হাজির হন ৬ ডিসেম্বর। কখনো আবার বড়দিনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এসে দিয়ে যান চকলেট আর খেলনা।
সান্টা ক্লজ থাকেন বরফ ঢাকা উত্তর মেরুতে। তাঁর হো হো হাসির শব্দে কেঁপে ওঠে চারিদিক….a little round belly / That shook when he laugh’d, like a bowl full of jelly. মেরুতে রয়েছে তার খেলনার এক বিশাল কারখানা। সেখানের পিনকোড তাঁর হাসির সঙ্গে মিলিয়ে HOHOHO .সে কারখানায় তৈরি হচ্ছে অসংখ্য খেলনা। সেগুলো তৈরি করছে ‘এলফ ‘ নামে বিশেষ এক জাতের পরীর দল। ‘এলফ ‘ রা হল ছেলে পরী। তারা সবসময় সান্টা-ক্লজের সঙ্গে থাকে। অনেক সময় তারা ঘরের চিমনি বেয়ে নেমে আসে আর ঘরের ভেতর রেখে যায় উপহার। সান্টা-ক্লজের রয়েছে এক বিশাল খাতা। সেখানে বিশ্বের সব শিশুর নাম রয়েছে। তাদের ভাগ করা হয়েছে দু’টি ভাগে। দুষ্টু শিশু আর লক্ষী শিশু। লক্ষী শিশুদের জন্য রয়েছে চমৎকার সব উপহার আর দুষ্টু শিশুদের জন্য ভাঙা বোতাম, কয়লার টুকরো এমনি সব। শিশুরা তাই সারা বছর ধরে দুষ্টুমি না করে শান্তশিষ্ট হয়ে থাকার চেষ্টা করে। আমেরিকা-কানাডার শিশুরা ঘুমানোর আগে সান্টা-ক্লজের জন্য এক গ্লাস দুধ আর কুকি বিস্কুট রেখে দেয়। সঙ্গে রাখে নতুন মজা। পরদিন সকালে উঠেই তারা ছুটে যায় ক্রিসমাস ট্রির নিচে। সান্তার দেওয়া উপহারের জন্য। এরপর যায় কিচেনে খোঁজ করতে, তাদের রেখে যাওয়া দুধ আর কুকি সান্তা খেয়েছে কিনা। সুইডেন ও নরওয়েতে শিশুরা সান্টার জন্য রাখে রাইস পরিজ। আয়ারল্যান্ড-এ রাখা হয় বড়দিনের পুডিং। জাপানি শিশুরা ঘুম থেকে উঠে বালিশের নিচে পায় বড়দিনের উপহার। নেদারল্যান্ডের শিশুরা তো সান্টার হরিনের জন্য গাজরও রেখে দেয়। সান্টা তাদের দিয়ে যায় মিষ্টি। বিভিন্ন দোকান, শপিং মল, কিম্বা হোটেলের সামনে সান্টা-ক্লজের সাজে সেজে থাকেন অনেক বুড়ো। শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা আর হাসি ঠাট্টায় মেতে ওঠেন তারা। শিশুদের উপহার দেওয়া হয় নানা রকম খেলনা।
কিন্তু এই লাল ফোলা ফোলা পোশাক, মাথায় লাল টুপি পরা হাসিমুখের সাদা দাড়ি সান্টাক্লজ কে জনপ্রিয় করেছে কারা ? শুনতে অবাক লাগলেও উত্তরটা হলো কোকাকোলা। ১৯৩০ সালে কোকাকোলা কোম্পানির বিজ্ঞাপনে হ্যাডন স্যান্ডব্লোম সান্টাকে যেভাবে এঁকেছিলেন, এখনও আমরা সেভাবেই তাঁকে দেখে চলেছি।স্যান্ডব্লোম অবশ্য সম্পুর্ন কল্পনা থেকে এঁকেছিলেন তা নয়। ১৮৬০ সালে ক্লেমেন্ট ক্লার্ক মুরের কবিতা “এ ডিজিট ফ্রম সেন্ট নিকোলাস”-এর সঙ্গে আমেরিকান কার্টুনিস্ট থমাস নাস্ট যে ছবিটি আঁকেন সেই সঙ্গে কোকাকোলার সান্টার আশ্চর্য মিল ! কিন্তু কে এই সেন্ট নিকোলাস ?
২
সেন্ট নিকোলাস ছিলেন শতাব্দী চতুর্থ এক খ্রিস্টান সাধু। নিবাস তুরস্কে। একবার এক দুষ্টু লোক তিনটি শিশুকে কেটে লবণ জলে চুবিয়ে রেখেছিল। শোনা যায় নিকোলাস নাকি তাদের বাঁচিয়ে তুলেন। সেখান থেকেই শিশুদের রক্ষাকর্তা হিসেবে তিনি বিখ্যাত। আমেরিকায় সেন্ট নিকোলাস বিখ্যাত হন আঠারোশ শতকের শেষে। অর্থাৎ১৭৭৩-১৭৭৪ সালের দিকে।১৮০৪ সালের নিউইয়র্ক হিস্টরিক্যাল সোসাইটির সদস্য জন পিনটারড , সোসাইটির বার্ষিক সম্মেলনে উপস্থিত সবাইকে সেন্ট নিকোলাসের ছবি সম্বলিত কাঠের তৈরি একটি ছবি দিয়েছিলেন। আধুনিক সান্টার ফিচারের সঙ্গে সেন্ট নিকোলাসের সেই ছবির দারুন মিল। নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকাতেই প্রথম প্রকাশিত হয় সেন্ট নিকোলাসের মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে একদল ‘ডাচ’ ফ্যামিলির সমবেত হওয়ার কথা। সঙ্গে ‘সান্তা ক্লজ’ নামকরণের ইতিহাস।
নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গে সেন্ট নিকোলাস কে বলা হয় সিন্টারক্লাস। ১৮০৯ সালে বিখ্যাত লেখক ওয়াসিংটন আরভিং তাঁর লেখা বই ‘নিউইয়র্ক এর ইতিহাস’ এ সিন্টারক্লাস কে নিয়ে গল্প লেখেন। তারপর থেকেই সেন্ট নিকোলাস থেকে সান্তাক্লজ নামে আমেরিকান সমাজে প্রতিষ্ঠা পেতে শুরু করেন। যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের স্যান্টাক্লজ এর রূপটি আমেরিকার মতো হলেও, এই অঞ্চলে তিনি ফাদার ক্রিসমাস নামেই পরিচিত। সিন্টারক্লাস একজন গুরুগম্ভীর বৃদ্ধ মানুষ যাঁর বেশ লম্বা দাড়ি আছে, মাথার সব চুলও সাদা। তিনি মাথায় একটি খুব লম্বা লাল টুপি পরেন। গায়ে থাকে বিশপের কাপড়। সঙ্গে কখনো কখনো লাল স্টোল। আঙুলে লাল রুবির আংটি আর সোনালি রঙের বিশপের দন্ড থাকে তাঁর হাতে। তিনি ঘোড়ায় চেপে ঘুরে বেড়ান। নেদারল্যান্ডে ওর ঘোড়ার নাম—‘এমিরগো’ আর বেলজিয়ামে ঘোড়ার নাম—‘স্লেক্ট উইয়ার ভানডাগ’। সিনটারক্লাসের হাতে একটা বিশাল বড় খাতা থাকে। কথিত আছে সেই খাতায় প্রত্যেকটি শিশুর নাম লেখা আছে আর সঙ্গে লেখা আছে , শিশুটি কি সে বছর বেশি দুস্টুমি করেছে নাকি বেশি লক্ষী ছিল তার হিসাব। সিন্টারক্লাসের সহকারীর নাম ব্ল্যাক পিট্। কালো কোঁকড়ানো চুল , গলায় লেস বসানো পোশাক, মাথায় টুপিতে পালক গোঁজা ঠিক যেমন সতেরোশো শতাব্দীর পোশাকগুলো ছিল। ১৮৫০ সালে আমস্টারডামের স্কুল শিক্ষক ইয়ান ক্যাঙ্কারম্যান প্রথমে ব্ল্যাক পিটের ছবিটি ঐতিহাসিকভাবে আঁকেন, যদিও তখন ব্ল্যাক পিট নাম তার ছিল না।সিনটারক্লাসের দাস হিসেবে চরিত্রটি প্রথম আঁকা হয়।
হেলেন এডেলিন গার্বার এবং আরো অনেকের মতে সিন্টার ক্লাস আর তার সহকারীদের এই গল্পটি কোনো-না-কোনোভাবে ওয়াইল্ড হান্টের লেখা ‘উডেন’-এর গল্পটির সঙ্গে জড়িত।ওয়াইল্ড হান্টের গল্পের স্লেপিনির চরিত্রটি সাদা ঘোড়ায় চড়ে বাতাসের বেগে চলাফেরা করত আর তারও দুজন কালো কোঁকড়া চুলের সহকারী ছিল;হাগিন এবং মুনিন। তারা ব্ল্যাক পিটের মতো বাড়ির ছাদের কাছের চিমনিতে বসে থাকত আর তাদেরও কাজ ছিল ‘উডেন’-কে পৃথিবীর মানুষের ভালো আর মন্দ কাজ নিয়ে অভিহিত করা। তবে এগুলো সবই কল্পনার চরিত্র। ইতিহাসের পাতা কিংবা ধর্মগ্রন্থে এদের কোন অস্তিত্ব নেই।সিন্টারক্লাস আর ব্ল্যাক পিটের কাজ হল লক্ষ্মী বাচ্চাদের জন্য বস্তা ভর্তি করে চকলেট নিয়ে আসা আর মুঠো মুঠো সেই চকলেট তাদের বিলানো। আর দুষ্টু বাচ্চাদের পেছনে উইলো গাছের শাখা দিয়ে তৈরি বেদ দিয়ে মারা। লক্ষ্মী বাচ্চাদের চকলেট বিলানো শেষ হলে সেই বস্তায় ভরেই নাকি দুষ্টু বাচ্চাদের স্পেনে নিয়ে যাওয়া হত।
পিট কেন ব্ল্যাক ? বলা হয় চিলেকোঠার চিমনি দিয়ে বারবার উপহার নিয়ে ওঠানামা করতে গিয়ে পুড়ে কালো হয়ে গেছে, কিন্তু সত্যি হয়ত সেটা নয়।
পিটকে স্পেনের একজন নিগ্রো ক্রিতদাস ভেবে নিয়েই সেই সময়ে চরিত্রটি আঁকা হয়েছিল। ২০১৩ সালে তাই হল্যান্ডের কালো অধিবাসীদের চরম আপত্তির মুখে জাতিসংঘ বলেছে নেদারল্যান্ডসে এখনি ব্ল্যাক পিটের আসর বন্ধ করা উচিত। একবিংশ শতাব্দীতে দাস প্রথা নিয়ে উৎসব করাই উচিত নয়। ওলন্দাজরা এর ঘোর বিরোধিতা করে যাচ্ছে। তাদের মতে, হাজার বছর ধরে চলে আসা এই উৎসবের সঙ্গে বর্ণ-বৈষম্য মিলানো ঠিক না, বিদেশীরা তাদের সংস্কৃতির মর্ম বোঝেনা। ভবিষ্যতে পিটের রং কি হবে ? কালো নাকি সাদা ? ভবিষ্যতই সেটা ঠিক করবে।
ঐতিহ্যগতভাবে ঠিক প্রতিবছর সিন্টারক্লাস ১১ নভেম্বরের পরের শনিবার স্পেন থেকে বাষ্প চালিত জাহাজে চড়ে নেদারল্যান্ডসের নদী বা সমুদ্র নিকটবর্তী কোন শহরে অবতরণ করেন। সিন্টারক্লাস কোন শহর দিয়ে সে বছর নেদারল্যান্ডসে প্রবেশ করবেন সেটা রাষ্ট্রীয়ভাবে ঠিক করে দেওয়া হয় বছরের শুরুর দিকে এবং সে অনুযায়ী শহরের মেয়র আর জনগণেরা সারাবছর প্রস্তুতি নেয়। সাজানো-গোছানো শহরে, উৎসবমুখর পরিবেশে ঘোড়ায় চড়ে সিন্টার ক্লাস প্যারেড করে এগিয়ে চলেন। সব বাচ্চারা গান সিন্টারক্লাসের গান গেয়ে তাকে উৎফুল্ল চিত্তে বরণ করে নেয়।ব্ল্যাক পিট্ পশে থেকে সবার মাঝে মুঠো মুঠো চকলেট, পেপারনোটেন ,ক্রাউডেননটেন ,স্পেকুলাস ছিটিয়ে দেয়।পুরো অনুষ্ঠানটি নেদারল্যান্ড ও বেলজিয়ামের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সরাসরি সম্প্রচার করে থাকে। যে শহরে সিন্টকে জাতীয়ভাবে বরণ করা হয় সে শহর ছাড়া অন্য শহরগুলোতেও স্থানীয়ভাবে নিজেরা সিন্ট উৎসব পালন করে থাকে। শনিবারে পৌঁছানোর পর রোববারে অনেক সময় সিন্ট ট্রেনে করে, ঘোড়ায় চড়ে কিংবা ঘোড়ায় টানা গাড়িতে চড়ে পাশের শহরগুলোতে বাচ্চাদের সঙ্গে দেখা করতে যান। ডিসেম্বরের ৬ তারিখে তাঁর সম্মানে ভোজ হয়। একে বলা হয় সেন্ট নিকোলাস ডে। অবশ্য ষোড়শ শতাব্দি বা তার কিছু পর থেকে ৬ ডিসেম্বরের সেন্ট নিকোলাস ডে ভোজ পালিত না হয়ে তা ২৫ ডিসেম্বর ক্রিসমাস ভোজের সঙ্গে পালিত হয়।
৩ প্রাক খ্রিস্টীয় যুগে নর্স পুরাণের ওডিন ছিলেন প্রধান দেবতা। ওডিনের ছিল লম্বা সাদা দাড়ি।ওডিনের নামানুসারে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে উৎসব ও উপহার দানের প্রথা ছিল। ওডিন অনেক সময় ঘরের চিমনি দিয়ে নেমে আসতেন এবং উপহার রেখে যেতেন। পরবর্তীতে খ্রিস্টীয় যুগে সেই প্রথাই বদলে যায় বড়দিনের উপহার দানের প্রথায়। ওডিনের চেহারার ছাপ পড়ে স্যান্টাক্লজ-এর উপর। স্ক্যান্ডিনেভিয়ার লোককথায় বলা হয়, উপহার নিয়ে আসেন যিনি, তিনি একজন ছোটখাটো বৃদ্ধ মানুষ। তাঁর লম্বা দাড়ি আছে। তাঁর নাম হলো টমটে বা নিসে। ইংল্যান্ডে ফাদার ক্রিসমাস উপহার নিয়ে আসেন বলে ১৬শ শতাব্দী থেকে বিশ্বাস রয়েছে। ফাদার ক্রিসমাস এক বিশালদেহী বৃদ্ধ। তিনি সকলের জন্য শান্তি, আনন্দ, ভালো খাদ্য, পানীয় ও উপহার নিয়ে আসেন। তাঁর পরনে সবুজ পোষাক।
অষ্টাদশ শতাব্দী থেকেই ক্রমশ জনপ্রিয়তা বাড়ে সান্টা-ক্লজের। তাঁর নামে চালু হয় নানা গল্পকথা। সেগুলো একত্র করে লেখা হয় ‘এ ভিজিট ফ্রম সেন্ট নিকোলাস’ কবিতা। বলা হয়, তিনি থাকেন বরফ ঢাকা উত্তর মেরুতে। ঘুরে বেড়ান ড্যাসার,ড্যান্সার, প্রান্সার,ভিক্সেন,কমেট ,ডোনার আর ব্লিটজেন নামের সাত বলগা হরিণের এক বিশাল উড়ন্ত স্লেজ গাড়িতে চড়ে। ১৯৪৯সালের ‘রুডলফ দ্যা রেড নোজড রেনডিয়ার ‘ গানটি প্রবল জনপ্রিয় হবার পর এই বলগা হরিণ দলের নেতা হিসেবে রুডলফের নাম যুক্ত হয়। স্যান্টাক্লজ কে নিয়ে তৈরি হয়েছে কত না বিখ্যাত সব সিনেমা।Miracle on 34th Street, The Polar Express, Dear Santa, Rudolph the Red-Nosed Reindeer নামের এইসব সিনেমা আজও বাচ্চাদের দারুণ পছন্দের।
তবে সান্টা কি শুধুই খুশি নিয়ে আসেন ? সবসময় না ? ২০০৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর রাতে লস অ্যাঞ্জেলেসের কাছেই কোভিনা এলাকায় জেমস এবং অলিভিয়া ওর্তেগার বাড়িতে সেদিন জমজমাট পার্টির আয়োজন। প্রায় ৩৫ জন নিমন্ত্রিত সেই পার্টিতে। পাটি শুরু হওয়ার কিছু পরে এক সান্টা-ক্লজের আগমন। কোভিনা অঞ্চলে এরকম চমক দেওয়া সান্টা সব পার্টিতেই আসে। তাই দরজা খুলে দেয় ছোট্ট একটি মেয়ে। লাল সান্টার পোশাক , সাদা দাড়ি-গোফ লাগানো মানুষটির হাতে উপহারের প্যাকেট, সেটাও স্বাভাবিক। কিন্তু প্যাকেট খুলতেই চমক, দুই হাতে দুটি বন্দুক উঁচিয়ে ওই সান্টা শুরু করে এলোপাথারি গুলি চালাতে। প্রথমে জখম হয় দরজা খুলে দেওয়া ছোট্ট মেয়েটিই। গুলি লাগে তার মুখে। এরপর একের পর এক বেশ কয়েকজন ধরাশায়ী। কয়েকজন পালাতে চেষ্টা করেন, লাফ দেন দোতলা থেকে। আততায়ী সান্টা এরপর তার গাড়িতে রাখা হাতবোমায় বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গোটা বাড়ীতে আগুন লাগিয়ে দিয়ে চলে যায়। কিছু পরে নিজের ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে ওই বন্দুক থেকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করে। সান্টা সাজা এই পাগলা খুনির নাম ব্রুস পার্দো।
তবে ওসব দুষ্টুদের কথা আজ থাক।আমাদের কাছে ডিসেম্বর মানেই বড়দিন। আর বড়দিন মানেই, স্যান্টাক্লজ ,হরেক রকমের কেক, ফ্রুট কেক, ব্ল্যাক ফরেস্ট, প্লাম কেক,বেকড এন্ড ওয়ালনাট , ডেটস এন্ড ব্ল্যাক কারেন্ট। নানা ধরনের কেকের পসরা সাজিয়ে বসেছে শহরের দোকানগুলি-ফ্লুরিজ ,নাহুম। রয়েছে পেস্ট্রি, কাপ কেক, চকোলেট বা স্ট্রবেরি মুসে। তার সঙ্গে উপরি পাওনা সান্টা বুড়োর থেকে উপহার আর কার্নিভাল। বড়দিনের আমেজে ভাসছে গোটা বাংলা। আয়োজন শেষ। এখন শুধু অপেক্ষা…. সান্টা-ক্লজের……
কৌশিক মজুমদার
[:]