[:bn]মুম্বাই থেকে [:]

[:bn]মুম্বাই থেকে [:]

March 28, 2018

[:bn]

আমার চোখে নারী শুধু দুই প্রকারের হয়
জন আব্রাহাম

জনের এক্টিং নিয়ে যদিও স্বপক্ষে-বিপক্ষে অনেক সমালোচনা হতে থাকে, কিন্তু ফিল্ম উনি নিজের মন-মতো করেন। একদিকে যেমন উনি ‘ওয়েলকাম ব্যাক’,’টিসুম’, ‘ফোর্স ‘- এর মতো খাঁটি মশলা ফিল্ম খুব সহজভাবে করে নেন অন্যদিকে ‘মাদ্রাস ক্যাফে’,পরমাণু -দ্যা স্টোরি অফ পোখরান’-এর মতো সিরিয়াস ফিল্মও অনায়াসে করে দেন। হ্যাঁ, পৌরুষের রূপে রূপবান আব্রাহামের ক্যারিয়ার গ্রাফও এই কথাই বলে।এখনো উনি ‘পরমাণু’ নিয়ে খুব ব্যস্ত। কিন্তু এই সাক্ষাৎকারে সব প্রশ্নের জবাবই খুব সহজভাবে দিলেন।
প্রশ্ন : আপনি আগের তুলনায় অনেক বেশি সজাগ হয়ে গেছেন তাই না কি ?
জন : ইন্ডাস্ট্রিতে মডেল এবং অভিনেতা হিসেবে অনেক বছর কেটে গেছে। এখন সজাগ হওয়াই তো স্বাভাবিক। তাছাড়া একটা কথা তো ঠিক আমি শুরু থেকেই একটু সজাগ ছিলাম। আমি ভালো বক্তা না হই, ভালো শ্রোতা তো নিশ্চয়ই। নিজের বুদ্ধি-বিবেচনা নিয়ে কোনোরকম বাড়াবাড়ি আমি পছন্দ করিনা। কিন্তু বৌদ্ধিক বিচার-সমৃদ্ধ মানুষের সঙ্গে আলোচনা-পরামর্শ করা পছন্দ করি।

প্রশ্নঃ আপনার একটা রোমান্টিক অতীত ছিল ?

জনঃ আমি সেই সব মহিলা ফ্যানদের কাছে কৃতজ্ঞ যারা আমাকে এত ভালবাসা এর সম্মান দিয়েছেন। আমার চোখে নারী শুধু দুই প্রকারের হয় –ভালো এবং খারাপ। যেখানে রোমান্টিক অতীতের প্রশ্ন, আমাদের সবার জীবনেই এমন একটা সময় আসে যখন আমরা রোমান্স করি। তারপর একসময় সবার মধ্যে একটা স্থিরতা এসে যায়। তখন রোমান্স ইত্যাদির কথা ভাবাই বেকার।

প্রশ্নঃ বিবি প্রিয়া রুঞ্চালকেও আপনি ওয়ারকিং পার্টনার বানিয়ে নিয়েছেন?

জনঃ হ্যাঁ, ও আমার অনেক কাজ সামলে নিচ্ছে। ওর মাথা খুব সাফ আর ও খুব ভালো কাজ সামলায়। ফিল্মে ওর কোনো শখ নেই। তাই আমি ওকে লাইফ পার্টনার বানানোর পাশাপাশি ওয়ার্কিং পার্টনারও বানিয়ে নিয়েছি।

প্রশ্নঃ আর আপনার বাইক প্রেমের বিষয়ে কি বলবেন?

জনঃ সেটা এখনও কমেনি।তবে এদিকে বাইক চালাবার সুযোগ খুব কম পাই। কিন্তু যে বাচ্চারা বাইক চালায় তারা আমাকে খুব পছন্দ করে। আমি ওদের কাছে একজন সেলিব্রিটি। কিন্তু আমি ওদের একটাই কথা বলতে চাই যে বাইক চালাবার সময় গতির উপর নিয়ন্ত্রন যেন না হারায়। তবেই বাইক চালাবার মজা আসবে।

প্রশ্নঃ আপনার বাইক প্রেম দেখে মনে হয়, আপনি বেছে বেছে প্রত্যেকটা বাইক চালিয়েছেন।

জনঃ ঠিক বেছে বেছে নয়, তবে অনেক নাম আপনাকে সুনিয়ে দিতে পারি। পাপার দেওইয়া বাইক দিয়ে আমার বাইক চালানো শুরু। আর এই সময় ছয়-সাতটা বাইক আমার গ্যারেজে আছে। যাতে পরিবর্তন হতে থাকে।

নায়িকা প্রধান ফিল্ম করা ছাড়বো না
সোনাক্ষী সিনহা

সোনাক্ষীর সাত বছরের কেরিয়ারে এটা অত্যন্ত হতাশা ভরা সময় চলছে। বোঝাই যাচ্ছে যে স্টারডামের রাস্তা ওর পায়ের নিচে থেকে পিছলে গেছে । অবশ্য এমন নয় যে, ওঁর কাছে এখন কোনো ফিল্মই নেই। কিন্তু বড় হিরোরা সবাই ওঁর থেকে দূরে সরে গেছেন। এখন সিদ্ধার্থ মালহোত্রা,দলজিৎ দোসংজ -এদের মতো হিরোর সঙ্গে ওঁকে কাজ করতে হচ্ছে। ওঁর সঙ্গে কথাবার্তার কিছু অংশ তুলে দিলাম।
প্রশ্ন : আপনার যে এখন আপনার খারাপ সময় চলছে তার জন্য আপনি নিজের হিরোইন বেসড ফিল্মকে কতটা দায়ী মনে করছেন ?
সোনাক্ষী : ফিল্ম হিরো ওরিয়েন্টেড হোক বা হিরোইন বেসড , সবকিছু ফিল্মের রেজাল্টের উপর নির্ভর করে। কঙ্গনার ‘কুইন’ বা দীপিকার ‘পিকু’ যখন হিট হয় তখন লোকেদের চিন্তাধারা বদলে যায়। তবে যাই হোক, আমি হিরোইন বেসড ফিল্ম করা না।
প্রশ্ন : সম্প্রতি আপনি কিছু বিশেষ প্রকারের কেরামতি দেখাবার জন্য অনেক সময় দিচ্ছেন।
সোনাক্ষী : আমার একটা ফিল্ম আসছে ‘সার্কাস’। এই ফিল্মে আমি একজন ট্রাপিজ আর্টিস্টের রোল করছি। এজন্য কিছু প্রশিক্ষণ নিয়েছি আমার মনে হয় a film এই ফিল্ম আমাকে এই ফিল্ম আমাকে জনপ্রিয়তার শিখরে তুলবে এজন্য আমি কিছু সার্কাস আর্টিস্টের সঙ্গে দেখাও করেছি।
প্রশ্ন : ‘ইত্তেফাক’ ছবিটি করার কিছু বিশেষ কারণ আছে কি ?
সোনাক্ষী : এত লোকপ্রিয় ফিল্মের রিমেকে কে না কাজ করতে চাইবে ? পুরনো ইত্তেফাকে নন্দাজি যে রোল করেছিলেন,আমি সেই রোল করছি। কিন্তু এতে কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। অভয় চোপড়া এই ফিল্মের ডাইরেক্টর। করন এর এক নির্মাতা এবং উনি নিজে অত্যন্ত রুচি দেখিয়েছেন।
প্রশ্ন : আপনি তো প্রায়ই ফটো শুট করান ?
সোনাক্ষী : এতে দোষ কি ? সোশ্যাল মিডিয়া এবং প্রিন্ট মিডিয়াতে আপনার ফটো আসা দরকার। লোক সর্বদা নিজের প্রিয় স্টারকে নতুন নতুন লুকে দেখতে চায়।
প্রশ্ন : হালেই একটা সার্ভেতে আপনাকে স্টারডামে কোনো জায়গাই দেওয়া হয়নি।
সোনাক্ষী : আমি তো কখনো কাউকে এ কথা বলিনি যে আপনি আমাকে একটা পজিশনে রাখুন।আসলে এ নিয়ে আমি কিছু ভাবনা -চিন্তাই করি না। নিজের কাজ পুরো সততার সঙ্গে আমি নিশ্চিন্তে ঘুমোতে চাই।

অসীম চক্রবর্তী

[:]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *