[:bn]সম্পাদকীয় [:]

[:bn]সম্পাদকীয় [:]

March 21, 2018

[:bn]এশিয়ান উইমেন্স চ্যাম্পিয়ানশিপে সোনা জিতে মধ্যতিরিশের মেরি কম প্রমাণ করে দিয়েছেন তথাকথিত ‘বয়স’ হয়ে গেলেও পরিশ্রম এবং ইচ্ছা দিয়ে এই বয়সেও সাফল্য অর্জন করা যায়।এর আগেও শুধুমাত্র ‘মেয়ে’ হওয়ার কারণে ‘পুরুষসুলভ’ খেলাধুলা করার জন্য নানা ধরনের সামাজিক প্রতিকুলতার সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে তাঁকে। তাঁর সাফল্য শুধুমাত্র একটি স্বর্ণপদক জয় করা নয়, তাঁর সাফল্য  ‘মেয়ে’ এবং ‘বয়সের’ ধারণা-ধাঁচা ভেঙে ফেলে দৃষ্টান্ত তৈরি করা । আশাকরি এই দৃষ্টান্ত তোমাদের অনুপ্রাণিত করবে।

                           আসলে কি জানো তো সহনশীলতার উন্নয়নে খেলাধুলার ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। যে ছেলে জলে-কাদায় ফুটবল খেলছে বা যে মেয়ে সাঁতার কেটে আনন্দ পাচ্ছে, সহ্যশক্তির পরীক্ষায় সে বেশি নম্বরের দাবিদার হতে পারে নিশ্চয়ই। এছাড়া দীর্ঘ পথ দৌড়ে যে ঘর্মাক্ত কলেবর অথবা খেলার পরিশ্রমে যার ফুসফুস ঘনঘন ওঠানামা করছে, কষ্টসহিষ্ণুতার দীক্ষায় সে যে অনেক দূর এগিয়ে, নিশ্চয় তাতে তোমাদের কোন সন্দেহ নেই। শুধু শারীরিক কষ্টসহিষ্ণুতার কথা বলছি না, মানসিক ভাবে সে অনেক দৃঢ় হবে, সহনশীল হবে। সহিষ্ণুতা, সে শারীরিক হোক বা মানসিক, গার্হস্থ্য জীবনে যে খুবই প্রয়োজন সেটা নিশ্চয় মানবে।খবরের কাগজ খুললেই তো দেখতে পাও, কারোর মা বকেছে বা কারোর বাবা মোবাইল ফোন দেয়নি বা কারোর বন্ধুরা মশকরা করছে, ব্যাস সহ্য করতে না পেরে সাংঘাতিক একটা প্রাণঘাতী কাজ করে বসেছে।এটা তো একেবারেই কাম্য নয়। শুধু গার্হস্থ্য জীবন কেন, বড় হয়ে যখন কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করবে, দেখবে জীবন সংগ্রামে প্রতি পদে পদে  তোমাদের শক্তি পরীক্ষা দিতে হবে। তাই শরীর এবং মন উভয়কেই শক্তপোক্ত করাটাই বাঞ্ছনীয় এবং শরীর নামক এই যন্ত্রটা উপযুক্ত চালনার জন্য খেলাধুলার ভূমিকা ব্যাপক । তা বলে মাত্রা জ্ঞান বজায় রাখতে হবে, বেখেয়ালের মত সারাদিন খেলে গেলে চলবেনা। পাশাপাশি ‘অধ্যয়ন’ মহাশয়কেও সন্তুষ্ট রাখতে হবে। আসলে কি জানো, আমাদের জীবনে ভারসাম্য ব্যাপারটা সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ। কোন সময় কোনটা কতক্ষন করতে হবে, এইটা নিজেকে স্থির করে নিতে হবে। সঠিক সময়ে সঠিক কাজ, তাও আবার পরিমিত ভাবে। সত্যিই বড় কঠিন তোমাদের দুনিয়া– পড়া ,খেলা,বিশ্রাম,পোড় পরিবার ,বন্ধু ,ফেসবুক ,হোয়াটস আপ,বাহিরজগৎ -এর কত প্রলোভনের হাতছানি সামলে এগিয়ে যাওয়া। এ যেন একটা ফুটবল ম্যাচ, এক একটা বাধাকে পাশ কাটিয়ে গোলপোস্টের দিকে এগিয়ে যাওয়া। তোমারাই বা পেলে- মারাদোনার থেকে কম কিসের ? তোমরাও তো এক -একজন মেসি ,রোনাল্ডো। আমার বাড়ীতেও তো একটা আছে, তাই বুঝতে পারি তোমাদের জীবনটাই যেন একটা আস্ত ফুটবল ম্যাচ !
নতুন বছর এসে গেল। নতুন বছরের রেজোলিউশন ঠিক করে ফেলেছো তো ?
অনেক ভালবাসা, মেরি খ্রিস্টমাস এন্ড হ্যাপি নিউ ইয়ার ।

 রূপা মজুমদার

[:]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *